রবিবারের বিশ্বকাপ ফাইনালে কাতারের আমির যখন আর্জেন্টিনার বিজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসির কাঁধে একটি কালো এবং সোনার চাদর পরিয়ে দিয়েছিলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ। ৩৫ বছর বয়সী ফুটবল কিংবদন্তি বিশ্বজুড়ে টেলিভিশনের পর্দায় ‘বিশত’ পরা অবস্থায় বিশ্বকাপের ট্রফিটি তুলে ধরেছিলেন ।

সালেম দোহার সোক ওয়াকিফ মার্কেটে পরিবারের দোকানের কাছে একটি ক্যাফেতে আর্জেন্টিনাকে ফ্রান্সকে পরাজিত করতে দেখেছেন, এর আগে দুটি সূক্ষ্ম হাতে তৈরি পোশাক বিশ্বকাপ কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। একটি ছিলো মেসির জন্য ছোট আকারের এবং একটি লম্বা ফরাসি অধিনায়ক হুগো লরিসের সাথে মানানসই।তিনি এএফপিকে বলেছিলেন -”আমরা আগে জানতাম না কার জন্য এটি তৈরী করেছিলেন, পরে যখন জানলাম আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ”সালেম তার কোম্পানির ট্যাগ চিনতে পেরেছেন এবং এখন নিজের বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করছেন।আল সালেম স্টোর, কাতারি রয়্যালটির কাছে দীর্ঘদিনের বিশত সরবরাহকারী, সাধারণত দিনে আট থেকে ১০টি পোশাক বিক্রি করে তারা ।সালেম জানিয়েছেন -সোমবার, ফাইনালের পরের দিন, মেসির বিখ্যাত করা সেরা বিশতের তিনটি কপি সহ ১৫০টি বিক্রি হয়েছিল। একপর্যায়ে দোকানের বাইরে কয়েক ডজন মানুষ অপেক্ষা করছিলেন এই পোশাক কেনার জন্য। তারা প্রায় সবাই আর্জেন্টাইন ছিল।

আলখাল্লার দাম
মেসির গায়ে যে বিশতটি পরিয়ে দেয়া হয়, সেটির দাম ২ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। এটি জাপান থেকে আনা নাজাফি কটন আর জার্মানি থেকে আনা স্বর্ণের থ্রেড দিয়ে বানানো। বানাতে সময় লাগে এক সপ্তাহ। পোশাকটির প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে মেসির সেই বিশত কিনতে ১০ কোটি টাকা প্রস্তাব দিয়েছেন ওমানের একজন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তা। আহমেদ আল-বারওয়ানি নামের ওই ব্যক্তি ওমানের শুরা কাউন্সিলের সদস্য। নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি লেখেন, ‘আমার বন্ধু মেসি ২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ জেতায় আমি ওমান সালতানাত থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনাকে আরব বিশত পরিয়ে কাতারের আমির তামিম আমাকে মুগ্ধ করেছেন। এই বিশত উদারতা ও প্রজ্ঞার প্রতীক। আমি ওই বিশতের বিনিময়ে আপনাকে ১০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১০ কোটি ২৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা) অফার করছি।